অনেকেই বলেন, সঠিক রূপটান সৌন্দর্যে বদল আনে। ত্বকের খুঁত ঢেকে দেয়। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া, অফিস ক্লায়েন্ট, মিটিং—এ সব সামলাতে গেলে ফিটফাট থাকাটাও জরুরি। আবার অনেক পেশায় মেকআপ করাটাও বাধ্যতামূলক। সমস্যা হল, নিয়মিত মেকআপ করলে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। প্রসাধনীতে থাকে রাসায়নিক। দিনের পর দিন নানা রকম রাসায়নিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে, ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। মুখের উপর ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরত ত্বকের রন্ধ্রমুখ বন্ধ করে দেয়। তার উপর ঘাম, ময়লা জমে মুখে সংক্রমণ হতে পারে। ব্রণ, র্যাশ দেখা দিতে পারে। রুক্ষও হয়ে প়ড়তে পারে ত্বক। তবেমেকআপের আগে এবং পরে তা নিয়ম মেনে করলেই মুখ সুন্দর এবং উজ্জ্বল থাকবে। মুখে জ্বালা, ফুস্কুড়ি হবে না।’’
ত্বকের প্রস্তুতি: শুরুটা হওয়া দরকার ক্লিনজ়িং দিয়ে। দিনের শেষে ঘরে ফিরে মেকআপ তোলা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি মেকআপ করার আগে মৃদু কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া। তারপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিতে হবে। ময়েশ্চরাইজ়ার মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বক রুক্ষ দেখাবে না।
ত্বকের রন্ধ্রমুখ বড় হলে মেকআপ করার পরেও তা ঢাকা পড়ে না। কিংবা ফাউন্ডশেন ব্যবহারের পর ত্বক তেমন মসৃণ লাগে না। প্রাইমার সেই সমস্যার সমাধান করে। ত্বকে মসৃণ ভাব আনে। তবে বেশি হালকা, ম্যাট জাতীয় প্রাইমারই ভাল। টিন্ডেড প্রাইমার এড়িয়ে চলাই ভাল।
ত্বক-বান্ধব মেকআপ: তেলবিহীন, খনিজ সমৃদ্ধ ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া জরুরি। ত্বকের ধরন কারও শুষ্ক, কারও তৈলাক্ত। আবার গরম, বর্ষার মরসুমে আর্দ্রতার জন্য ঘাম বেশি হয়। সেই কারণে ত্বক এবং আবহাওয়া বুঝে ফাউন্ডেশন বাছতে হবে। যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বক আর্দ্র থাকলেও, ত্বকের রন্ধ্রমুখ সে ভাবে আটকে যাবে না। তবে ভিটামিন সি এবং নিয়াসিনামাইড রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল, বিশেষত দিনে। এতে ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে কালচে দেখাবে।
টিন্টেড সানস্ক্রিন: কারও মুখের বর্ণ কোথাও বেশি কালচে হয়। চোখের নীচে, ঠোঁটের দু’পাশের অংশ কারও আবার গালে কালচে ছোপ থাকে। এই দাগছোপ ঢেকে মুখের রং একইরকম দেখাতে সাহায্য করে টিন্ডেড সানস্ক্রিন। ফাউন্ডশেনর বদলে এটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বেশি পরত ঠিক নয়: অনেকের মুখেই মেকআপের পুরু পরত থাকে। তা দেখতে যেমন কৃত্রিম লাগে, তেমনই গরমে গলে যাওযার সম্ভনা থাকে। তা ছাড়া, এত বেশি মেকআপ থাকলে ত্বকের রন্ধ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়। বদলে দিনের বেলা কাজে যেতে হলে কনসিলার ব্যবহারের পর বিবি ক্রিম মেখে নিতে পারেন।
মেকআপ ব্রাশের পরিচ্ছন্নতা: মেকআপ ব্রাশটি অন্যকে না দেওয়াই ভাল বা অন্যের মেকআপ ব্রাশ না ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে একদিন মেকআপ স্পঞ্জ থেকে ব্রাশ শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে নেওয়া দরকার। মেকআপ স্পঞ্জ, ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তা থেকে ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে।
ত্বককে শ্বাস নিতে দিন: কাজ থেকে ফিরে বা বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠান সেরে ফিরে দ্রুত মেকআপ তুলে নিন। তৈলাক্ত ত্বক হলে মাইসেলার ওয়াটার ভাল। রুক্ষ ত্বক হলে তেল দিয়েও মেকআপ তুলতে পারেন। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে। মেকআপের পরত উঠে গেলে ত্বক অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসবে। সেটা ত্বক ভাল রাখার জন্য জরুরি।
সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের উপর মৃত কোষের পরত পড়ে গেলে জেল্লা কমতে থাকে। মৃত কোষ সরাতে এবং ত্বক ভালভাবে পরিষ্কারের জন্য দরকার হয় এক্সফোলিয়েশন। সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাব ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
ত্বকের প্রস্তুতি: শুরুটা হওয়া দরকার ক্লিনজ়িং দিয়ে। দিনের শেষে ঘরে ফিরে মেকআপ তোলা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি মেকআপ করার আগে মৃদু কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া। তারপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিতে হবে। ময়েশ্চরাইজ়ার মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বক রুক্ষ দেখাবে না।
ত্বকের রন্ধ্রমুখ বড় হলে মেকআপ করার পরেও তা ঢাকা পড়ে না। কিংবা ফাউন্ডশেন ব্যবহারের পর ত্বক তেমন মসৃণ লাগে না। প্রাইমার সেই সমস্যার সমাধান করে। ত্বকে মসৃণ ভাব আনে। তবে বেশি হালকা, ম্যাট জাতীয় প্রাইমারই ভাল। টিন্ডেড প্রাইমার এড়িয়ে চলাই ভাল।
ত্বক-বান্ধব মেকআপ: তেলবিহীন, খনিজ সমৃদ্ধ ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া জরুরি। ত্বকের ধরন কারও শুষ্ক, কারও তৈলাক্ত। আবার গরম, বর্ষার মরসুমে আর্দ্রতার জন্য ঘাম বেশি হয়। সেই কারণে ত্বক এবং আবহাওয়া বুঝে ফাউন্ডেশন বাছতে হবে। যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বক আর্দ্র থাকলেও, ত্বকের রন্ধ্রমুখ সে ভাবে আটকে যাবে না। তবে ভিটামিন সি এবং নিয়াসিনামাইড রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল, বিশেষত দিনে। এতে ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে কালচে দেখাবে।
টিন্টেড সানস্ক্রিন: কারও মুখের বর্ণ কোথাও বেশি কালচে হয়। চোখের নীচে, ঠোঁটের দু’পাশের অংশ কারও আবার গালে কালচে ছোপ থাকে। এই দাগছোপ ঢেকে মুখের রং একইরকম দেখাতে সাহায্য করে টিন্ডেড সানস্ক্রিন। ফাউন্ডশেনর বদলে এটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বেশি পরত ঠিক নয়: অনেকের মুখেই মেকআপের পুরু পরত থাকে। তা দেখতে যেমন কৃত্রিম লাগে, তেমনই গরমে গলে যাওযার সম্ভনা থাকে। তা ছাড়া, এত বেশি মেকআপ থাকলে ত্বকের রন্ধ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়। বদলে দিনের বেলা কাজে যেতে হলে কনসিলার ব্যবহারের পর বিবি ক্রিম মেখে নিতে পারেন।
মেকআপ ব্রাশের পরিচ্ছন্নতা: মেকআপ ব্রাশটি অন্যকে না দেওয়াই ভাল বা অন্যের মেকআপ ব্রাশ না ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে একদিন মেকআপ স্পঞ্জ থেকে ব্রাশ শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে নেওয়া দরকার। মেকআপ স্পঞ্জ, ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তা থেকে ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে।
ত্বককে শ্বাস নিতে দিন: কাজ থেকে ফিরে বা বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠান সেরে ফিরে দ্রুত মেকআপ তুলে নিন। তৈলাক্ত ত্বক হলে মাইসেলার ওয়াটার ভাল। রুক্ষ ত্বক হলে তেল দিয়েও মেকআপ তুলতে পারেন। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে। মেকআপের পরত উঠে গেলে ত্বক অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসবে। সেটা ত্বক ভাল রাখার জন্য জরুরি।
সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের উপর মৃত কোষের পরত পড়ে গেলে জেল্লা কমতে থাকে। মৃত কোষ সরাতে এবং ত্বক ভালভাবে পরিষ্কারের জন্য দরকার হয় এক্সফোলিয়েশন। সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাব ব্যবহার করাই যথেষ্ট।